1. admin@somoybelanews.com : somoyadmin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সভাপতি বাবু ও সাধারন সম্পাদক আওলাদ কাঞ্চন পৌর টেক্সটাইল মালিক সমিতির কমিটি গঠন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী নড়াইলের লোহাগড়া বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে এক তরুণীর অনশন যশোরে দুর্ঘটনায় আহত অধ্যক্ষ শফিকে দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি তৃপ্তি নড়াইলের নড়াগাতীতে ৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার ওসমানীনগরে অধিগ্রহণ জটিলতায় ধীরগতিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ ১২০৫ লিটার চোলাই মদ সহ ০২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সফলতা লাভে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে গোপালপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা শার্শা উপজেলা পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :-

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস এম নছরুল কাদির, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ এবং সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, আইনের শাসন হলো সেই নীতি যা নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সকল কর্মকাণ্ড আইন দ্বারা পরিচালিত হবে এবং নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষিত হবে। আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান। বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ নেই।

বর্তমানে অনেক আদালতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক বিচারককে এজলাস শেয়ার করে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়। যার ফলে বিচারিক কর্ম ঘণ্টার সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। তবে বিচার বিভাগ চাইলেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন বা স্থাপন করতে পারে না। কারণ আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও স্থাপন গ্রহণের ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের হাতে ন্যস্ত। অন্যদিকে বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক মামলা নামে খ্যাত এক বিশেষ ধরনের মামলা আবির্ভূত হযেছে। যে মামলাসমূহ বিচারের ক্ষেত্রে অনেক আদালত নিরপেক্ষতা দেখাতে চরমভাবে ব্যর্থ হযেছে। এছাড়া সরকার বা সরকারে থাকা বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণকারী নির্বাহীর ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্র বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। যার প্রধান কারণ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক পরাধীনতা। জেলা আদালতের বিচারকদের বদলি, নিয়োগ, পদায়ন ও শৃঙ্খলা বিধান বহুলাংশে নির্বাহী বিভাগের হাতে ন্যস্ত। শাসক শ্রেণি এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ বিচারের ক্ষেত্রে অযাচিত প্রভাব বিস্তার করতে সচেষ্ট হয়। একইভাবে আদালতের কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিচার বিভাগকে অযাচিত হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হতে হয়।

বক্তারা বলেন, বিচার বিভাগের সক্ষমতাকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আইন মন্ত্রণালযের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয় মোট বাজেটের ০.৩ থেকে ০.৮ শতাংশ যা মৎস্য ও পশু সম্পদ মস্ত্রণালযের মোট বরাদ্দের চেয়েও কম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

© All rights reserved © 2024

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি