মো. রাসেল শেখ, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলের কালিয়ায় একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলের পাকা ধান কাটতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষের লোকজন। এমনকি এলাকায় মাইকিং করে প্রায় ৮০ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাবলা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটেছে। পুরুষ শুন্য কাঞ্চনপুর গ্রামে নারীরা ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বাধার মুখে পড়ে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলছেন, চলতি মৌসুমে ধান ঘরে তুলতে না পারলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে তাদের। নিজেদের জমির ধান কাটতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন কিষানি জোৎস্না বেগম। তিনি জানান, রোববার দুপুরে এলাকায় মাইকিং করে হুমকি দেয়া হয়েছে, মিলন মোল্যার দলের কেউ ধান কাটতে গেলে তাদের দেখে নেয়া হবে। ভয়ে কেউ বিলে বা মাঠে ধান কাটতে যাইনি। কিন্তু রাতেই ক্ষেতের পাকা ধান কে বা কারা সব কেটে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইছহাক শেখের দুই ছেলে, আজিবর শেখ ও মুজিবর শেখের প্রায় ৫০ শতক জমির ধান কেটে নেয়া হয়েছে। একইভাবে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ুন শেখের ৩০ শতক জমির ধান কেটে নেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পিকুল শেখ মুঠো ফোনে বলেন, আমি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হওয়ায় দলীয় লোকদের বিভিন্নভাবে সাহায্যে সহযোগিতাতা করে থাকি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসাতে এহেন অপপ্রচার করেছেন একটি কুচক্রী মহল বা পক্ষ। এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম, বলেন, ধান কাটা বা ঘর ভাংচুরের বিষয় এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নামে (৫৭) এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জেেনর মত আহত হয়। হত্যা পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ১নং আসামী করে হত্যা মামলা হয়
Leave a Reply