নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ১ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পাইনাদি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হক জিলানী আজকে ছাত্রদের তোপের মুখে পড়ে নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন। প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে, অভিযোগ।
১- ভর্তি বানিজ্য,
২- মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আপত্তিকর কথা বার্তা,
৩- মেয়েদেরকে বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব
৪- টিচারদের সাথে নিয়োগ বানিজ্য
৫- অর্থনৈতিক লেনদেনে অপকর্ম
৬- ফরম পূরণ আর রেজিষ্ট্রেশনের নামে জোর পূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়
৭- প্রত্যায়নপত্র, সনদপত্র, প্রবেশপত্র, আটকে রেখে জোর পূর্বক টাকা আদায়
৮- শিক্ষিকা এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক আচরন
৯- মাদ্রাসা ফান্ডের ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ
১০- আত্মীয়তাকে মেধার উপর অগ্রাধিকার, এবং সেই ভিত্তিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য মূলক আচরন।
তিনি প্রথমে এইগুলো অস্বীকার করলেও ছাত্রদের মুখে তিনি তা স্বীকার করতে বাধ্য হন। অত্র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুল্লাহ বলেন আমি তাকে কিছু বললেই তিনি আমার চাকরি চাকরী চ্যুত করে দেয়ার কথা বলেন । তিনি নিজেকে তাজউদ্দিনের নাতি পরিচয় দেন। তিনি শিক্ষিকা দিদির সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আওয়ামী লীগের বল প্রয়োগের মাধ্যমে এই পদ পেয়ে যান এবং এখন তিনি বিএনপি এবং জামাত করেন বলে জানায়। ভুক্তভোগী ছাত্র মোঃ জাবের বলেন তিনি আমার কাছ থেকে প্রবেশপত্র বাবদ ৩০০০ টাকা চাইলে আমি তার প্রতিবাদ জানাই পরবর্তীতে সে আমাকে হুমকি দেয় সে আমার পরীক্ষা বন্ধ করে দেবে। সে ছাত্রদেরকে দেশদ্রোহী ট্যাগ দিয়ে মাদ্রাসা থেকে টিসি দেয়ার ভয় দেখায় যার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররা আজ উক্ত ক্যাম্পাসে সমাবেশের ডাক দেয় যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তাকে তার বাসভবনে পৌঁছে দেয়া হয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিসি মহোদয়কে জানানো হলে তিনি আশ্বস্ত করেন এরকম দুর্নীতিবাজ কোন লোককে মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে আর ঢুকতে দেয়া হবে না এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply