মোঃ আরিফুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন, এসআই পলাশ সাহা, এএসআই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আল মামুন ও কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম। তাদেরকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, গত সোমবার বিকেলে বিস্ফোরণ মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তখন থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সামাজিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল খানের গ্রেফতারের সংবাদ শুনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের উপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেয়। এতে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: মারুফ হোসেন জনানা, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) বিকালে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের সাউদখালী এলাকায় বিস্ফোরক মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল খান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করলে পুলিশের কাছে এই সংবাদ পৌঁছালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরে, সামাজিক অনুষ্ঠানের লোকজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা হেলাল খানের গ্রেপ্তারের খবর শুনে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং জোরপূর্বক হেলাল খানকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।
Leave a Reply