স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
HRPB- এর করা অবৈধ ইটভাটা বন্ধের মামলায় পাঁচ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সহ মহাপরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তরকে ১৭.০৩.২০২৫ তারিখে আদালতে স্ব-শরিরে হাজির হওয়ার নির্দেশ।
সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন এবং আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতা ২৮.১১.২০২৪ তারিখে আদালত এক আদেশ দিয়ে নির্দেশ দেন যে যাতে এই মৌসুমে অবৈধ ইটভাটা চালু করতে না পারে। বিগত ২৯.০১.২০২৫ তারিখে আদালতের এক আদেশে বিবাদীদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং একইসাথে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।
গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ব্যক্তিগতভাবে আদালত উপস্থিত হয়ে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালতে সিনিয়ার এডভোকেট মনজিল মোরসেদ তুলে ধরেন যে, নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি, কোন কোন ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সেগুলো পরবর্তীতে আবার চালু হয়েছে। এমনকি আইনে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা স্থাপন এবং পরিচালনার বিষয়ে না করার নির্দেশনা থাকলেও অবৈধভাবে যারা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং মাঝে মাঝে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়। কিন্তু আইন অনুসারে দুই বছরের জেল মালিকদেরকে দেওয়া হয় না। এছাড়াও, HRPB-এর পক্ষে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করে সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার সহ মহাপরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিতি হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এর বিভাগীয় কমিশনারসহ ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ অধিদপ্তরকে আদালতে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত হয়ে আগামী ১৭.৩.২০২৫ তারিখে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার সহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে পুনরায় সম্পূর্ণ আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শুনানিতে রিটকারী HRPB এর কৌশলী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। এছাড়া তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করা না হলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
HRPB-এর পক্ষে আবেদনকারী হলেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী। উক্ত রিট পিটিশানে বিবাদীরা হলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব সহ মোট ২১ জন।
HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এজি অনিক আর. হক ও ডিএজি মোঃ তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে এডভোকেট ফাহমিদা নাসরিন।
Leave a Reply