1. admin@somoybelanews.com : somoyadmin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশ, জনমনে ক্ষোভ চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনব্যাপী যুব কর্মসংস্থান ও আম রপ্তানি শীর্ষক সেমিনার শেরপুরে আস ছামিউল আলীম সেচ্ছাসেবক সংগঠনের অফিস শুভ উদ্ভোধন সভাপতি বাবু ও সাধারন সম্পাদক আওলাদ কাঞ্চন পৌর টেক্সটাইল মালিক সমিতির কমিটি গঠন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী নড়াইলের লোহাগড়া বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে এক তরুণীর অনশন যশোরে দুর্ঘটনায় আহত অধ্যক্ষ শফিকে দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি তৃপ্তি নড়াইলের নড়াগাতীতে ৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার ওসমানীনগরে অধিগ্রহণ জটিলতায় ধীরগতিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ ১২০৫ লিটার চোলাই মদ সহ ০২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মরহুম শেখ-চাঁটগাম কাজেম আলী মাষ্টারের ৯৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম

 

শিক্ষা, সমাজসেবা ও রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব। স্বদেশী, অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন সহ সমাজ সেবামূলক নানা কাজে এগিয়ে আসা চট্টগ্রামের উৎসাহী তরুণদের মধ্যে কাজেম আলী মাস্টার ছিলেন অন্যতম। শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা এবং জনদরদের কারণে চট্টগ্রামবাসী তাকে শেখ-ই-চাটগাম উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৮৫২ সালের ১১ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে জন্মগ্রহণ করেন। হুগলি থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কাজেম আলী সাতকানিয়া হাই স্কুলে শিক্ষকতা গ্রহণ করেন। এই জন্য তিনি কাজেম আলী মাস্টার নামে বেশি পরিচিত। তিনি সাতকানিয়া থেকে এসে পরবর্তীতে চাকমা রাজার কাছ থেকে ৬০ টাকায় কেনা জমিতে ১৮৮৫ সালে চিটাগাং মিডল ইংলিশ স্কুল নামে নিজের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। অচিরেই শিক্ষক হিসেবে চট্টগ্রামে তিনি সুনাম অর্জন করেন। চট্টগ্রামবাসীর উৎসাহ দেখে তিনি পিতার সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে ১৮৮৮ সালে চিটাগাং হাই ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর ১৯২৮ সালে এই স্কুলের নাম পরিবর্তিত হয়ে কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ হয়। কাজেম আলীর দক্ষতা আর অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের গুণে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলটি সাফল্য অর্জন করে, পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পরবর্তীকালে তিনি চট্টগ্রামে বেশ কিছু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা তৈরি ও পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক আদর্শে কাজেম আলী ছিলেন আপসহীন। অনলবর্ষী এই বক্তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় চমৎকার বক্তৃতা দিতে পারতেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে চট্টগ্রামে কংগ্রেস-খেলাফত কমিটির আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। এ সময় এক বিশাল জনসভায় তাঁকে ‘শেখ-ই-চাটগাম’ উপাধি দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে বঙ্গভঙ্গ বিরোধিতা ও ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের আন্দোলনে মূল উদ্যোক্তাদের একজন ছিলেন তিনি। অসহযোগ আন্দোলনে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের সহকর্মী ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। কাজেম আলী অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি, খাদেমুল ইসলাম সোসাইটি, খিলাফত কমিটিসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বহুকাল।

 

দেশের মানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন। তাই পরাধীনতার শৃঙ্খলে থেকে সরকার প্রদত্ত ‘খান বাহাদুর’ উপাধি বর্জন করেন তিনি।

জনসেবায় নিঃস্বার্থ অবদানের জন্য দু’বার তাঁকে ‘কায়সার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

১৯২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ-চাঁটগাম কাজেম আলী মাষ্টারের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

© All rights reserved © 2024

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি