মুহাম্মদ তাফাজ্জুলুল হক ফয়জী. পল্টন প্রতিনিধি:
গতকাল ১৮/১২/২৪ রোজ মঙ্গলবার রাত্র চারটার সময় তাবলীগ এর সাথীরা যখন প্রায় সবাই নামাজরত, জিকিররত, এবং অনেকে ঘুমন্ত ছিলো তখন ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা করে উক্ত হামলায় ঘটনার সময়ে তিনজন নিহত হয় এবং প্রায় শত মুসল্লি আহত হয় তারমধ্যে কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়ে বিভিন্ন হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে, আজ ১৯ ই ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজের পর তাবলীগ এর মারকাজ কাকরাইল মসজিদে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে গতকাল রাতে হামলায় শহিদ হওয়া কিশোরগঞ্জের সাথী ভাই এর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, জানাজায় দেশের তাওহীদী জনতা এবং শির্ষ আলেমগন শরিক হন কাকরাইল মসজিদের মোতাওয়াল্লি এবং শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আলহাবিব, নায়েবে আমির মাওলানা কুরবান আলী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও বেয়াকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুফতী ফয়জুল করিম সহ দেশের শির্ষ আলেমগন উপস্থিত ছিলেন, জানাজা শেষে উপস্থিত সকল মুসল্লীদের লক্ষ করে মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব বক্তব্য দেন তিনি পুরো হামলার সংক্ষেপ বর্ননা দেন এবং বলেন আমরা উপদেষ্টা এবং সরকারি কর্মকর্তা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছি, আমাদের চারটি দাবী পেশ করেছি তার মধ্যে তিনটি তাৎখনিক মেনে নিয়েছেন এবং আরও একটি দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন, এবং তিনারা আমাদের কাছে একটি আবেদন করেন আমরা যেন আগামীকাল এর টঙ্গী অভিমুখে লংমার্চ যেন না করি, আমরা পরামর্শক্রমে তাদের আবেদন মেনে নিয়েছি আপাতত লংমার্চ স্থগিত করেছি আগামীকাল এর মধ্যে যদি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হয় আমরা পরবর্তীতে কঠিন কর্মসূচি করবো।
মাওলানা মাহফুজুল হকের বক্তব্য শেষে মাওলানা যুবায়ের আহমদ সাহেব এর কান্না ময় মুনাজাত এর মাধ্যমে আজকের কাকরাইল মসজিদের অবস্থান সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply