মোঃ আরিফুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পুলিশের এসআই মৃধুুল মিস্ত্রির ক্ষমতা দেখিয়ে তার পিতা মৃতুঞ্জয় মিস্ত্রি ও তার চাচাতো ভাই অসিম মিস্ত্রি (অজিৎ) পরিবারের লোকজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদার ও তার ছেলে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মনি লাল এর ওপর হামলা করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদার (৭১) তার ছেলে মনি লাল (৩৪) তার স্ত্রী তিথি মিস্ত্রি (২২), মাতা কানন বালা (৫৫) ও চাচি লিলি মা (৭০) আহত হন। আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পত্তাশী রেকাখালি গ্রামের প্রথমে কালি মন্দিরের সামনে ও পরে তাদের নিজ বাড়ি হালদার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। বিষয়টি ইন্দুরকানী থানায় অবগত করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদার মন্দিরের অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অসিম মিস্ত্রি ও মৃতুঞ্জয় মিস্ত্রির সাথে ধীরেন্দ্রনাথ হালদারের কথা-কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে তারা মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদারকে মারধর করেন, পরে ধীরেন্দ্রনাথ হালদার বাড়িতে গিয়ে মারধরের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে এক পর্যায়ে তাদের উপরও হামলা চালায় তারা। গুরতর আহত স্বাস্থ্য সহকারী মনি লাল বলেন, মৃতুঞ্জয় মিস্ত্রির ছেলে পুলিশের এসআই হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করে আসছে। আজ সকালে মন্দিরে প্রসাদ খেতে গেলে আমার বাবার ওপর তাঁরা জমি পাবে বলে হামলা চালায়। পরে বাবা এস মারধরের কথা জানালে আমর মা আর আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমাদের উপরেও হামলা করে। মারধর ঠেকাতে আসলে আমার স্ত্রী ও চাচিকেও ওরা মারধর করে। তাছারা তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যায় ভাবে আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করে তারা কোনো শালিসি পর্যন্ত মানে না। এর পূর্বেও প্রতিবেশীদের সাথে ৩-৪ টা ঘটনা ঘটায় তারা। এতে ওই অভিযুক্তদের নামে কয়েকটি মামলাও রয়েছে থানায়। মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমাকে ও আমার পরিবারের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে। আমি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাই। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অসিম মিস্ত্রিকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান এবং বলেন এ বিষয় সরাসরি কথা বলবো। ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মারুফ হোসেন জানান, আহতরা থানায় এসেছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply