নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পায়নি গজারিয়াবাসী। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীদের নামে এখনো চলছে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদকব্যাবসা,লুটবাজ কোন অপরাধ নেই যা তারা করে না।
হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মিঠু, তার ভাই হাজী নামধারী টিটুর এক বিশাল লাঠিয়াল/ অস্ত্র বাহিনী আছে যাদের দ্বারা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করে রাসেল মাষ্টার।
২৮অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধা ৬.০০ ঘটিকায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জামালদীতে রাসেল বাহিনীর নেতৃত্বে দুঘন্টার তান্ডব চালায়। রাসেল বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন বদরুল আলম, মুশতাক আহমেদ, বাবু, রাজিব, সজিব, ইমাম ও সিরাজুল ইসলাম।
তারা মর্মান্তিক আহত হয়ে বদরুল আলম গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বদরুল আলম এবং মুশতাক আহমেদ এর পরিবার। এখন তারা পদে পদে মিথ্যা মামলা, মৃত্যুর ভয় দেখাচ্ছে রাসেল বাহিনী। গত ১৫ বছর যাবৎ এলাকায় নির্ভয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারতো না। কেউ থানা কিংবা আদালতে গেলেও কোন অভিযোগ গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতো না কারণ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হতো উপর মহল থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় এখনো কিছু কিছু এলাকায় আওয়ামী বাহিনী রাজত্ব করছে। এবং শক্তি প্রদর্শন করে টিকে থাকতে চায়। রাসেল বাহিনীর প্রধান হচ্ছে রাসেল মাষ্টার (৩৫), এর সাথে আছে সন্ত্রাসী কাউছার, কালাম, সোহেল, পারভেজ, অপু, ইব্রাহিম, আবু তাহের,ফারুক, কালাম, রিপন, রমজান, সোহাগসহ আরো ১০-১৫ জনের একটা বিশাল বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মিঠু । এরা এমন কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই যা তারা করে না। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এলাকার বাড়ি-ঘর তৈরি বিয়ে সাদীর অনুষ্ঠান সব ক্ষেত্রেই তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। তা না হলে শুরু হয় হামলা অত্যাচার। এদের চাঁদাবাজির কিছু অংশ যায় থানার বড় কর্মকর্তার হাতে যে কারনে তারা এখনো ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। এদের হাত থেকে এলাকার নিরীহ জনগণ পরিত্রাণ চায়, এলাকাবাসী মুক্তি চায়, শান্তিতে এলাকায় বসবাস করতে চায়।
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে তারা এখন অতিষ্ঠ বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে চাইছে তারা আরো বলেন যে হাজারো তরুণ তরুণীর রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু আমরা এখনো সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply