মোঃ আরিফুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর নেছারাবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবপদায়নকৃত ডাক্তার মামুন হাসান-কে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নেছারাবাদ হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধি ছাত্রজনতা সহ সর্বস্থরের মানুষ এ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে ডা: মামুন হাসান বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
সেখানে গত ৫ আগষ্টের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ছাত্রজনতা বিক্ষোভ করেছেন।
সকালে বিক্ষোভ কারিরা নেছারাবাদ জগন্নাথকাঠি বন্দর থেকে বের হয়ে স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মিছিলটি হাসপাতালের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, স্বরুপকাঠি পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মো: শফিকুল ইসলাম ফরিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: নাসির উদ্দীন তালুকদার সহ স্থানীয় ছাত্রজনতার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এসময় বক্তারা ডাক্তার মামুন হাসানের দুর্নীতির কথা সহ গত ৫ আগষ্টে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ডাক্তার মামুন হাসান শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ হেলালের পালিত লোক। তিনি শেখ হেলালের প্রভাব দেখিয়ে চিতলমারিতে চিকিৎসার মত মহৎ পেশায় দুর্নীতিতে নিমার্জিত ছিলেন। ডা: মামুন হাসান আওয়ামীলীগের ব্যানারে থেকে চিতলমারিতে যা ইচ্ছে তাই করেছেন। এমনকি তিনি ছাত্র জনতার গন আন্দোলনের বিরুদ্ধে থেকে সেখানকার বিএনপি সহ ছাত্রদের হয়রানি করেছেন। তাই তার মত দুর্নীতিবাজ ও দেশদ্রোহীকে নেছারাবাদ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারনের জোড়ালো দাবি জানাই।
এসময় বক্তারা আরো হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডা: মামুন হাসান এর পরেও যদি নেছারাবাদ হাসপাতালে যোগদান করে, তাতে যদি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এখানকার বিএনপি সহ ছাত্রজনতা এর দায়ভার নিবেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা: মো: মিজানুর রহমান জানান, “গত বৃহস্পতিবার নেছারাবাদ হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে ডাক্তার মামুন হাসানের পদায়ন হয়েছে। তবে এখনো তিনি সেখানে যোগদান করেননি। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের কথা স্থানীয় মানুষ ফোন করে জানিয়েছে। আমি বিষয়টি ইতোমধ্য বিভাগীয় পরিচালকের কাছে জানিয়েছি। আজকের বিক্ষোভের বিষয়টিও আমি তাকে জানাব।
Leave a Reply