আতাউর রহমান তুহিন, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে খুলনা জেলার কয়রা উপকূলে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দশহালিয়া বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে এলাকার মানুষের মধ্যে। এরইমধ্যে দশহালিয়া বেড়িবাধের আশেপাশের গ্রামের মানুষ দুর্বল এই বেড়িবাঁধ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ডানা আঘাত হানলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও আশেপাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নদ নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেঙে যেতে পারে দুর্বল দশহালিয়ার এই বেড়িবাঁধ। উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চিন্তিত সকলেই। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, ঘুর্নিঝড় ডানা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়রার ১১৬ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্য মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া সব জায়গায় সিপিপি সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে গ্রহন করছে। ৪ নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, দশহালিয়া ভেরিবাধের অবস্থা নাজুক। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না আসলে বাধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন বাধের জন্য টেন্ডার হয়েছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। তাছাড়া লোনাপানি মুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় দাবি কয়রার বাধ রক্ষার জন্য। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, আমরা দশহালিয়ায় সরন্জামসহ লোক পাঠিয়েছি। সেখানে কাজ চলতেছে।
Leave a Reply