1. admin@somoybelanews.com : somoyadmin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশ, জনমনে ক্ষোভ চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনব্যাপী যুব কর্মসংস্থান ও আম রপ্তানি শীর্ষক সেমিনার শেরপুরে আস ছামিউল আলীম সেচ্ছাসেবক সংগঠনের অফিস শুভ উদ্ভোধন সভাপতি বাবু ও সাধারন সম্পাদক আওলাদ কাঞ্চন পৌর টেক্সটাইল মালিক সমিতির কমিটি গঠন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী নড়াইলের লোহাগড়া বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে এক তরুণীর অনশন যশোরে দুর্ঘটনায় আহত অধ্যক্ষ শফিকে দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি তৃপ্তি নড়াইলের নড়াগাতীতে ৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার ওসমানীনগরে অধিগ্রহণ জটিলতায় ধীরগতিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ ১২০৫ লিটার চোলাই মদ সহ ০২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ইসলামী শরীয়াহ ও গণতান্ত্রিক কাঠামো

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

সেলিম সাইবঃ

গণতন্ত্র ও ইসলামী শরীয়াহ এর পার্থক্য দিয়েই শুরু করি: গণতন্ত্র এবং ইসলামের শরিয়াহ আইনের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো—গণতন্ত্রে মানুষের মতামতই চূড়ান্ত, যেখানে ইসলামে আল্লাহর বিধানই সর্বোচ্চ। গণতন্ত্রের ভিত্তিতে গঠিত সরকারে এমনকি ধর্মীয় বিধানগুলোকেও জনমতের ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হয়। হারামকে হালাল করা, মদ ও সুদের বৈধতা দেওয়া, এমনকি ব্যভিচার ও অন্যায় কাজকেও আইনত সঠিক ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই শেষ কথা। পক্ষান্তরে, ইসলামের শুরা পদ্ধতিতে আল্লাহর বিধান ও নবীর নির্দেশ অক্ষুণ্ণ থেকে যায়। শুরা শুধুমাত্র সেই বিষয়গুলোতে পরামর্শ করে, যেখানে কুরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই।

 

শুরা পদ্ধতিতে ফিকহ, ইলম, চরিত্র এবং ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তিদের পরামর্শ নেওয়া হয়, যেখানে গণতন্ত্রে যে কেউ, এমনকি কাফের বা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিও পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারে এবং তাদের দ্বারা প্রণীত আইনগুলো ধর্মবিরোধী হতে পারে। গণতন্ত্রে আইন প্রণয়ন করা হয় জনমতের ভিত্তিতে, কিন্তু ইসলামি শরিয়াহতে আল্লাহর বিধান অনুসারে চলা বাধ্যতামূলক। শাসক শুরার পরামর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য নন; বরং তিনি বিচক্ষণতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কিন্তু গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতই চূড়ান্ত এবং তা মানতে বাধ্য করা হয়।

 

এখানে প্রশ্ন আসে, কেন আমাদের ধর্মের সেই অধিকার থাকবে না যা আমাদের স্বাধীনতাকে শৃঙ্খলিত করবে? ইসলাম যা নির্দেশ করেছে তা মানুষের কল্যাণের জন্যই। নারীকে বেপর্দা হতে নিষেধ করা, মদপানে বাধা দেওয়া, শূকর খেতে নিষেধ করা—এসব বিধানের পেছনে রয়েছে মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণ। অথচ যখন এসব বিধান ধর্ম থেকে আসে, তখন তা কিছু মানুষ প্রত্যাখ্যান করে; কিন্তু যখন একই বিধান অন্য কোনো আইনের পক্ষ থেকে আসে, তখন তারা তা মেনে নেয়।

 

মুসলমানদের উচিত তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করা এবং আল্লাহর বিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা। ইসলামি শরিয়াহই মুসলমানদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহর বিধানই সর্বশ্রেষ্ঠ, তাই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবনপদ্ধতি গ্রহণ করা হারাম। শাসক ও শাসিত—সকলের কর্তব্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান মেনে চলা এবং আল্লাহর শরিয়তকে শ্রদ্ধা করা।

 

আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন ইসলামের মাধ্যমে আমাদেরকে শক্তিশালী করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেন। আল্লাহই সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান।

আশা করি একজন পাঠক হিসেবে আমরা বুঝতে পেরেছি আসলে আমাদের কোনটি বেছে নেওয়া উচিত!

ধন্যবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

© All rights reserved © 2024

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি