1. admin@somoybelanews.com : somoyadmin :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

সরকারী রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ নড়াইলে জালিয়াতির মাধ্যমে জমির দলিল রেজিস্ট্রি

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

মো. রাসেল শেখ, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইলে জমির শ্রেনি পরিবর্তন করে এবং জাল কাগজ পত্র তৈরি করে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আগামি ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণের জন্য নড়াইল সদর সাব- রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে,নড়াইল সদর সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২০২০ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি ৩৪৭৮/২০ নম্বর কবলা দলিল মূলে জমির দলিলে শ্রেনি পরিবর্তন করে। অপর দিকে জাল কাগজপত্র তৈরিকওে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রাম এলাকার ব্যবসায়ী অলোক কুমার কুন্ডু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজ নামে ৪০ শতক জমির দলিল সম্পাদন করে নেন। নড়াইল পৌরসভার ৬৯ নং কুড়িগ্রাম মৌজায় এস এ ২২৭ খতিয়ানের ২৪৬ ও ৪৯৬ দাগে ডাঙ্গা শ্রেনি উল্লেখ থাকা সত্তে¡ ও আর এস ৮৫৩/১ বাটা খতিয়ানে ধানী শ্রেনি করে দলিলে ২২২ আপত্তি কেসের মাধ্যমে রায় দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন তিনি। এস এ খতিয়ানে জমির মালিক শুকুমার ঘোষ এক মাত্র পুত্র বাবলা ঘোষকে রেখে মারা যান। এদেশ ছেড়ে বাবলা ঘোষ ভারতে বসবাস করায় যোতিন্দ্র ঘোষের ছেলে সুব্রত কুমার ঘোষ গংকে ওয়ারেশ সাজিয়ে পাওয়ার দলিল করে নেন তিনি। ৫৮১ নং দাগে সাড়ে ২৯ শতক জমি সরকারের খাস খতিয়ান ভূক্ত থাকলে ও জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে জোর পূর্বক ব্যক্তি নামে জমির একটি অংশ দলিল সম্পাদন করার অভিযোগ রয়েছে অলোক কুন্ডুর বিরুদ্ধে। নিজেকে আড়াল রাখতে পরবর্তীতে তিনি স্ত্রী শিল্পীরাণী কুন্ডুর নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। তিনি জমির কাগজ পত্র জাল জালিয়াতি থাকা সত্তে¡ও যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় জমির কাগজ পত্র বৈধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গুঞ্জন আছে। দান সূত্রে জমির মালিক জেবুন্নাহারের স্বামী শহরের ভওয়াখালীর বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্লাহ ১০১৮ নং খতিয়ানের কেচ শুনানী স্থগিত চেয়ে ভূমিজরিপ রেকর্ড অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন। এজমি ছাড়া ও পৌরসভার উজির পুর মৌজায় আর এস ২০০২, ২০০৫ ও ২০০৬ নং দাগে ভারতে বসবাস কারী তপনকে দাতা সাজিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ৪৫ শতক জমি নিজ নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অলোক কুন্ডুর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অলোক কুন্ডুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি। নড়াইল জেলা রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলাম জানান, ৩৪৭৮/২০ নম্বর কবলা দলিলে জমির শ্রেনি পরিবর্তন এবং জাল কাগজ পত্র তৈরি করে রেজিস্ট্রি করায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে অভিযোগ হস্তগত হয়। গত ৬ জানুয়ারি সদর সাব- রেজিস্ট্রারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

© All rights reserved © 2024

কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি