নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

গতো ১লা নভেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক ডি.আই.টি. মসজিদ রোডে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ঢাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সোনারগাঁওয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী ভাইয়ের নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁওয়ে নাকি আমাদের ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে, রূপগঞ্জ উপজেলা সদস্য সচিবকে নাকি হুমকি দেয়া হয়েছে, এসব বিভিন্ন দলের দুষ্কৃতকারীদের উদ্দেশ্য করে আমি বলতে চাই, সেনা শাসন ডেকে আইনেন না।”

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ভিপি নূর বলেন, “যৌক্তিক রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ১ বছর কি ২ কি ৩ বছর সময় লাগলেও দেয়া হবে, তবে জনদূর্ভোগ কমান দ্রব্যমূল্যের দাম কমান নয়তো জনরোষে পড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না।”

গণসমাবেশে উপস্থিত প্রায় ১০ হাজার জনসমাগমে নারায়ণগঞ্জবাসীকে উদ্দেশ্য করে গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, “ওসমান পরিবার তাদের সন্ত্রাস দ্বারা আপনাদের জিম্মি করে রেখেছিলো গতো ১৬ বছর, নারায়ণগঞ্জে আর কোন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে দেয়া হবে না।”

সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা দল হলো গণঅধিকার পরিষদ আর সেই আন্দোলনটি ছিলো কোটা সংস্কার আন্দোলন, সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার গতো অবৈধ নির্বাচনে জিতে এই কোটা পুনরায় নিয়ে এসে নিজেদের সন্ত্রাসীদের সরকারি পদে বসাতে চেয়েছিলো, কিন্তু ছাত্রজনতা এই অন্যায় রুখে দিয়েছে আর দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে।”

নারায়গঞ্জের গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন; নারায়ণগঞ্জ গণঅধিকারের ইঞ্জি: নাহিদ, আক্তার হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ মহিবুল্লাহ, নাজিউর রহমান, সাইদুজ্জামান খোকন, মোঃ গিফারী, ফয়সাল ইবনে আমিন, মোঃ রিফাত, জোবায়ের হোসেন শান্ত, আবু সিদ্দিক, জুনায়েদ জাহাঙ্গীর, নজরুল ইসলাম, উলফত কবির মাস্টার, আবু বকর সিদ্দিক সহো আরো অনেকে।