মোঃ আরিফুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার শেখ মোঃ মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সেচ্চাচারিতা, ভূয়া বিল ভাউচার সহ বিভিন্ন অনয়িনম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি নভেম্বর -২০২০ তারিখে নিজ জেলার ইন্দুরকানী উপজেলায় ইউআরডিও পদে যোগে দান করেন। শুরু থেকেই তিনি ফ্যসিষ্ট সরকারে ক্ষমতা দেখিয়ে কর্মস্থলে না থেকে পিরোজপুর সদরে থাকতেন এবং উপপরিচালকের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিমিয়িত ভাবে অফিস পরিচালনা করতেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি জানুয়ারি -২৪ থেকে আগষ্ট -২৪ পর্যন্ত আট মাস হাজিরা খাতায় কোন স্বাক্ষর করেন নি কিন্তু প্রতিমাসে বেতন ভাতা, ভ্রমন ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মাসে ২/৩ দিন অফিস করলেও আসতেন দুপুর ২টার পরে যেতেন ৩ টায় এছাড়া উপজেলার অধিকাংশ মিটিংএ তিনি অনুপস্থিত থাকতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরডিবির এক কর্মচারী জানান, তিনি অফিসে ২/১ জন কর্মচারীকে ব্যক্তিগত সুবিধা দিয়ে নিজে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সকল কাজ করিয়ে নিতেন এবং অন্যান্ন কর্মচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন। তার ব্যবহার খারাপের জন্য অফিস পিওন সহ হিসাব সহকারী অফিস থেকে বিতারিত হয়েছে এবং তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করতেছে। অফিসের অধিকাংশ কাজ পিরোজপুরে তার বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর এনে করতে হতো এবং প্রতি মাসে ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে নিজে হাতিয়ে নিত অর্থ, ভূয়া পরিদর্শন খাতা বানিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে সর্বোচ্চ ভ্রমন ভাতা গ্রহন করতো। এমনিক অফিসের একটি কম্পিউটার প্রিন্টার সহ তার বাসায় রেখেছে এই চার বছর এখন তার বদলি অর্ডার হওয়ার পরেও অফিসে তা ফেরত দেয়নি।
এসব বিষয়ে বিআরডিবি ইউসিসিএর সাবেক সভাপতি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরিদ আহম্মেদ জানান, আমি ৩-১১-২০১৯ থেকে ০২-১১-২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সভাপতির দায়িত্ব পাই কিন্তু এই কর্মকর্তা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অফিসের কর্মচারী সহ আমার সাথে বিভিন্ন খারপ আচারন করেছে এমনকি অফিস থেকে আমার চেয়ার টেবিল অন্যত্র একটি জরাজীর্ণ রুমে সরিয়ে দিয়েছে আমাকে বসতে দেয়নি এবং আমাকে তিন বছরে কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে দেয়নি। সে ফ্যাসিষ্ট সরকারে দোষরদের দিয়ে পিআরডিপি-৩ স্কিমগুলো টাকা ভাগাভাগি করে নাম মাত্র কাজ বাস্তবায়ন করেছে। অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে কাজ না করিয়ে ভাড়া করা বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করিয়েছে। তিনি অফিসের ভূয়া বিল ভাউচার করার জন্য অফিসে আসতেন । আমার দায়িত্ব কালীন সময়ে দেখেছি তিনি সমিতি/দলের ঋন পরিশোধ হলেও নানা অযুহাতে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে ঋন বিতরণ করত অনেক সমিতির ঋন তার জন্য স্থবির হয়ে পড়েছে অনেকেই টাকা পরিশোধ করলেও এখনো ঋন পান নি।
এসকল বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেন নি। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিষয়ে বিআরডিবি ইউসিসিএর বর্তমান সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহীন গাজীর সাথে যোগাগো করা হলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।