মো. রাসেল শেখ, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
মো. সোহান বিশ^াসের (২৯) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে বামহাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লেগেছিল। ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার মালিবাগ ও নাকশি-মাদ্রাসা এলাকায় চলছিল ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী প্রচন্ড বিক্ষোভ। ওই বিক্ষোভে স্বতর্স্ফূতভাবে অংশ নিয়েছিলেন সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রী মো. সোহান বিশ^াস। সেদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিলেন তিনি। আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন বুলেট আর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। রোববার (৬ এপ্রিল) নড়াইল সদর হাসপাতালে অপারেশন করে সেই ছররা গুলির একটি অংশ বের করা হয়েছে। তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও গুলি রয়েছে বলে তিনি জানান। এর আগে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে (ঘটনার ২মাস পর) বাঁহাতে অপারেশন করা হলেও হাতের অবশভাব এখনো কাটেনি। ফলে বাঁহাত চিরতরে অবশ হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে রাজমিস্ত্রী সোহানের। গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সোহান বিশ^াস বলেন, তার বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন তাকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে দুইমাস চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানেই বামহাতে অপারেশন করা হয়। বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্নআহবায়ক সোহান আরও জানান, সহযোগিতা হিসেবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। সোহানের চাচা নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি বিএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমার ভাইপোর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। যারা আমার ভাইপোকে গুলি করছে তাদের বিচার চাই