নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২য় দিনের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত।
নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর সকাল ১০:০০ মিনিটে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিকেল ০২:০০ মিনিটে পরবর্তী দিনের ঘোষনা দিয়ে কর্মসূচি শেষ করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা,সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা নুর,অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা,দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রয়,কার্যকরী সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস নিসা সহ,তোলারাম কলেজ সংগঠক রাইসা ইসলাম,মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা,নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার সদস্য সচিব আবিদ রহমান, ভোলাইল শাখার আহ্বায়ক মাহাদি হাসান, সদস্য শেখ সাদী,তাহমিদ আনোয়ার, সরকারি কদম রসুল কলেজের সংগঠক অনামিকা চৌধুরি, সদস্য মো: সোহাগ,সজীব,, সহ অন্যান্য সংগঠক-কর্মী সহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।
বক্তব্যে ছাত্রনেতা মৌমিতা নুর বলেন, এই রাষ্ট্র এবং সমাজ দেশের জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ। যার নজির বিগত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া ধর্ষনকান্ড দেখলেই বোঝা যায়।
এই যে নারীর প্রতি যে বঞ্চনা আমাদের সমাজে বিদ্যমান যে ধর্ষক আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নারীকে সে ধর্ষণের বঞ্চনা নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন,
আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ২৪ শে নারীদের যে ভূমিকা আপনারা দেখেছেন নারীদের যে অংশগ্রহণ ছিল এবং অগ্রভাগে ছিলো নারীরা সেইভাবেই নারায়ণগঞ্জে তাদের অগ্রভাগে ভূমিকা রেখে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ছাত্রনেতা শাহিন মৃধা বলেন, “ক্ষোভ এবং বেদনা নিয়ে বলতে হয় অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে একটার পর একটা ধর্ষন চলছেই। টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি এবং গণধর্ষণ, বাসায় ঢুকে ধর্ষন,অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষন সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ গোদনাইলে ২ জন গার্মেন্ট কর্মীকে ধর্ষন এবং গতকাল রাতে কাঁচপুরের ৬ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষন করা হয়। আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা গুলোর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ধর্ষকদের বিচার চেয়ে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশের এই লাগামহীন চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,ধর্ষন এর ঘটনা ঘটলেও দেশের প্রশাসন এখনো নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা দাবি করি অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বচ্চো শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং যৌন নিপীড়ন বন্ধে শহর-গ্রাম,পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্যাম্পাস এবং কর্মসংস্থানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন করতে হবে।
বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি সমাজের অপরাধপ্রবণতাকে আজ লাগামহীন করেছে তা ভেঙে ফেলতে হবে। বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সকল ধর্ষণ-নিপীড়ণের বিচার নিশ্চিত করে রাষ্ট্রে বিচারবিভাগকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছেন নারী সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, তোলারাম কলেজ শিক্ষার্থী কাওসার ইয়ামিন।