পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা গত দুইদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে ঘন কুয়াশা আর উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত । এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ-সময় বাতাসের আদ্রতা পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল।
এদিকে,পঞ্চগড়ের আশপাশের উপজেলা গুলোতে গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। উত্তর হিমালয় দিয় বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। এই কনকনে ঠান্ডার গ্রামের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। প্রায় ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা বের করেছে। এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা না মেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘব কুয়াশা ও উত্তরের কনকনে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মাঘের এই শীতের তীব্রতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর পাথর শ্রমিক শুভ ইসলাম বলেন,কনকনে শীতে বরফগলা ঠান্ডা পানিতে নেমে কাজ করতে কষ্ট হয়। পরিবারের কথা চিন্তা করে এই কষ্টের কাজ করতে হয়। যা আয় হয় তা দিবে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে চলতে হয়।
ভ্যানচালক রবি ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে থাকতে হবে।
অপরদিকে কৃষকরা শঙ্কা করছেন কুয়াশার পরিমান বেড়ে গেলে শীতকালীন ফসল বিশেষ করে আলু ক্ষেত ও বীজ তলায় বোরো বীজের চারার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আলু চাষীরা আলু ক্ষেতে কুয়াশা নাশক স্প্রে করছেন। অনেক চাষী বোরো বীজের চারা পলেথিন দিয়ে ঢাকা দিচ্ছেন।
এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় তেতুলিয়ায় ১২.
৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তিনি জানান, এই মাসে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে ।