মোঃ আরিফুল ইসলাম পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুল লতিফ হাওলাদারের (৬৯) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার বাদ জোহর ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আব্দুল লতিফ হাওলাদারের জানাজায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমৃত্যু আব্দুল লতিফ হাওলাদার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একাধারে ২০ বছর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং তার আগে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ঢাকার বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী সাহিদা বেগম পিরোজপুর জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও পিপি আবুল কালাম আকন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজউদ্দিন রানা, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জহিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরিদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু, শিক্ষক নেতা আহসানুল ছগির, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলী হোসেন ও সেক্রেটারী তৌহিদুর রহমান রাতুলসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, জনাব আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মৃত্যুতে ইন্দুরকানীর রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়। তিনি ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। অনেক সংগ্রাম অনেক পরিশ্রমের পর যখন একটু সুখের সময় এসেছে ঠিক সেই মূহুর্তে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি আশা করি তার রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনশক্তি দেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।