পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুর ইন্দুরকানীর পাড়েরহাটের বাটাজোড় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতার পুত্র ইমাম হোসেন (৩৫) এর বিরুদ্ধে। সোমবার এক নারীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ইমাম হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। ইমাম পাড়েরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইদ্রিস আলীর পুত্র।
মামলার বাদি বাটাজোড় গ্রামের মোকাম্মেল আলী হাওলাদার এর পুত্র শামীম হাওলাদার অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেয়ায় রবিবার দুপুরে বাটাজোর হাওলাদার বাড়িতে আমার মা আনোয়ারা বেগম (৭৫) ও আমার ভাই আসলাম হাওলাদার (৪৫) এর উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে ইমাম ও তার সহযোগিরা। হামলায় আমার ভাই আসলাম এর ডান পা ভেঙে যায়। আর মাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। রবিবার রাতেই ইমাম হোসেনকে আটক করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সে মাদক কারবারি ও মাদকাসক্ত। ২০১৪ সালে বাটাজোড় আলিম মাদ্রাসার সামনে থাকা মসজিদের ইমাম খায়রুল ইসলামের দোকান ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয় ইমাম হোসেন। একই সময় খায়রুল এর ভাই ছাইফুলকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। বাটাজোড় গ্রামের মালেক সরদার এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙে লুট করে ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যায় এই ইমাম হোসেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। প্রকাশ্যে রুস্তুম হাওলাদার এর গরু জবাই করে খেয়েছে ইমাম ও তার দলীয়রা। বাটাজোড়ের আউয়াল শেখ চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানের ফ্রিজসহ মালামাল নিয়ে যায় ইমাম।
আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় ইমাম দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের তান্ডব চালালেও কেউ কখনো মুখ খুলতে সাহস করে নাই বলে অভিযোগ করেন কালিবাড়ির পোস্ট মাস্টার আব্দুল আলিম।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, ইমাম হোসেন এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে।