নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘটনা গাজীপুরের শ্রীপুরে।বাড়ীসহ জমি বিক্রয় করতে গিয়ে হয় পরিচয়। জমি ও বাড়ীর মূলে ১৫ লক্ষ টাকা দরদাম হয়। ৪ কিস্তিতে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে এমন সিদ্ধান্ত হয়। এসব লোভনীয় কথাবার্তায় বিবাহের প্রস্তাব দেন তরুণীকে এক বৃদ্ধ লোক। আসলে জমি ক্রয়-বিক্রয় কোনটাই হয়নি। শুধু তরুণীর টাকা নিল বৃদ্ধ।
প্রলোভন ও মিথ্যা ধনাঢ্য দিয়ে ওই তরুণীকে বিয়ে করে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। ওই
ভুক্তভোগী তরুণীর নাম রাজিয়া সুলতানা।
৪ বছর আগে শামসুদ্দিন খন্দকার (৭০) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ লোক মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন খন্দকার নামে পরিচিত। গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নে।
বিয়ের পর তার নববধূকে শ্রীপুর এলাকার ছাপড়া মসজিদ সংলগ্ন এক বাড়িতে নিয়ে বেশ কয়েদিন সংসার করছেন। ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। চাকরির সমস্ত টাকা স্বামী শামসুদ্দিন খন্দকারের হাতে দিতেন।
হঠাৎ করে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করেন। যৌতুক না পেয়ে ওই বাড়ি থেকে স্ত্রী রাজিয়া সুলতানকে বের করে দেন শামসুদ্দিন খন্দকার। প্রায় সময়ই করা হতো মারধর। তখন ভুক্তভোগী উপায়ন্ত'র না পেয়ে আহত অবস্থায় তার বাপের বাড়ি অবস্থান করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এসব কথা জানান। তিনি জানান, বিয়ের পর বিষয়টি কাউকে জানাননি শামসুদ্দিন খন্দকার। এর কোনো সাড়া না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আবার সেই বাড়িতে যান তিনি।
একপর্যায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শামসুদ্দিন খন্দকার। এসব জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু কোন প্রকার সমঝোতা না হওয়ায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্রীপুর ছাপড়া মসজিদ সংলগ্ন স্বামীর ওই বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু স্ত্রী বলে অস্বীকার করে সন্ত্রাসী দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় কয়েকবার।
এর বিচার চেয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শামসুদ্দিন খন্দকারকে ফোন করিলে উত্তেজিত কন্ঠে কথা বলেন এবং কথার উত্তর না দিয়ে তিনি অসুস্থ বলে ফোন কেটে দেন।
এম/এস