নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে জুবায়ের ও আল আমিনের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের মাওলানা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমি আক্তার থানা ও সেনা ক্যাম্পে দুইটি অভিযোগ করেন।
জানা যায়, জুবায়ের ও আলা আমিনের মিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বুধবার রাতের আঁধারে সুমির নতুন টিনের তৈরিকৃত বাড়ি ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় সুমির বড় বোন পার্শ্ববর্তী বড় বাড়ি থেকে টর্চলাইট মারলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। এমন কি পিস্তল রামদা, চাইনিজ কুড়াল দেখিয়ে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।তিনি এসময় জুবায়ের ও আলামিনকে চিনে ফেলেন। পরে সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় সাবমারসিবল, ঘর করার নতুন টিন ও কাঠ নিয়ে যায়। এতে সুমির চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, সুমিকে ঘর করার ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত ছিল না। কিন্তু সাদিপুর মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মো:আতাউল্লাহ এতে রাজি ছিলনা। কেন রাজি ছিল না এটা তিনিই বলতে পারবেন। এ ঘর তার লোক ছাড়া আর কেউ ভাঙে নাই।
ভুক্তভোগী সুমি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, আমি অসহায় এক মানুষ। আমার ভাই ও বাবা এমনকি কোন সন্তানাদি নেই।আমার স্বামী অনেক কষ্টে ছোট একটু জমি কিনে। এর মধ্যে আমি বাড়ি করতেছিলাম। কিন্তু বুধবার রাতের আঁধারে মাওলানা আবু জাফরের ছেলে জুবায়ের ও মাওলানার নাতি আল আমিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল পিস্তল, রামদা,কুড়াল,হামার দিয়ে আমার ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এতে আমার চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। মাওলানা আবু জাফর বলে আমার জায়গায় নাকি সমস্যা আছে। তাহলে সমস্যা থাকলে উনি কাগজ নিয়ে বসুক। এছাড়া আমি যার কাছ থেকে জায়গা কিনেছি, তার সাথেও কথা বলতে পারে। উনার উদ্দেশ্য হলো জোরপূর্বক জায়গা দখল করা, চাঁদাবাজি করা। আমি প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মাওলানা আবু জাফরের ছেলে জোবায়ের এই অভিযোগকে অসত্য বলেন। তবে তিনি বলেন, তাদের জায়গার সমস্যা আছে। এ সমস্যা শেষ না করে তিনি ঘর তুলতে পারেন না।
এ বিষয়ে তালতলা ফাঁড়ির এসআই আশিষ জানান, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। খুব নির্মমভাবে সুমির ঘর ভেঙেছে সন্ত্রাসীরা। তদন্ত করে দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
এম/এস