লালন সরকার দেবীগঞ্জ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি চাষে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্কুল শিক্ষক শফিকুল আলম। ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষক উপজেলার শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা'য় খয়ের বাগান এলাকায় তার বর্গাচাষি হাসমত আলীর উঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। এই সময় খয়ের বাগান এলাকার শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের তীর উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমুর দিকে। সাংবাদিকদের কাছে ঐ শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তার ১২ বিঘা জমি চাষাবাদে বাধা দিচ্ছেন উপজেলা কৃষকলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমুর লোকজন। ওই জমি এমুসহ আরো চারজন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জবর দখল করেছে। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার এড়াতে এমু বর্তমানে পলাতক থাকলেও তার লোকজন এখনো ওই শিক্ষককে জমিতে চাষাবাদ করতে বাধা দিচ্ছেন।
এমুর স্ত্রী দিশা মনিসহ অন্য যারা এই জমিতে অংশীদার আছেন বলে দাবি করছেন তারা হলেন তাহিনুর রহমান, রাশেদুজ্জামান রাকিব, সামিউল ইসলাম,ও হযরত।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শফিকুল জমি চাষাবাদ করতে গেলে এমুর লোকজন তার লোকজনদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তাহিনুর গং স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এর আগে গত শুক্রবার তাহিনুর গং ওই জমিতে চাষ দেন বলে জানান শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, আদালতের রায়ের পর যদি তারা জমি পায় তাহলে আমরা জমি বের করে দিব। কিন্তু রায়ের আগেই এভাবে হামলা করলে জবরদস্তি করলে আমরা কই যাবো।
এইদিকে অভিযোগের বিষয়ে তাহিনুর রহমান বলেন, আমরা নই বরং শফিকুল গং আমাদের জমি জবরদখল করে আছে। আমরা আমাদের জমিতেই চাষ দিয়েছি। আর আমি না বরং তারাই আমাকে আজ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। জমিতে প্রবেশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল উভয় পক্ষ যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করি। কিন্তু তারা তা মানেনি।
এম/এস