মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
বয়ারসিংহ আটুলিয়া,শ্যামনগর উপজেলার মোঃ শফিকুল ইসলাম তরফদারের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে কিছু তারই আপন ভাই আব্দুস সালাম তরফদার। দলবল নিয়ে এসে গত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখ সাবেক প্রধানমন্ত্রি শেখা হাসিনার পদত্যাগের পরেই ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম তরফদার কে কেউ ছাড় দেয়নি হামলাকারিরা, তাকে মারধর করে জখম করে তার ভাই সালাম তরফদার ও তার দলবল। শফিকুল ইসলাম বলেন তার ভাই ঘটনাটি ঘটায় তাকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে,যার ফলে প্রতিবন্ধী শফিকের হারাতে হয় ঘর-বাড়ি, ভিটা-মাটি ও দোকান। অত্র শ্যামনগর থানাধীন ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়নের জে.এল ১১৭ নং আলবাড়ীয় মৌজায় এস.এ ৫১ নংখতিয়ানে আর.এস ৩৮৯ নং খতিয়ানে এস.এ ৫০১ ও হাল- ২২৯৫ নং দাগে ০.২৯ একর জমির মধ্যে ০.০৭২৫ একর জমি আমি রেজিস্ট্রার কোবালা সূত্রে পাপ্ত হয়ে সেখানে আমি এখান দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
আমি এবিষয়ে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা মাতি অনলর, সাতক্ষীরা বরাবর পিটিশন ২৪৫২/২৩ নং মামলা রুজু করি। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মাতাবস্থায় গত ইং- ২০/০৮/২০২৪ তারিখের আদেশের প্রেক্ষিতে ঘর সংস্কারের অনুমতি প্রদান করা হয়।
আমি আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে দোকান ঘর নির্মানের জন্য হার চালা বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করে বামলা পরিচালন করতে থাকাবস্থায় আসামীরা অসসরের সিদ্ধান্ত অবমাননা করে গত ইং- ৩০/০৮/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকার সময় আসামীগণ সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা পরস্পর যোগসাসজে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক হাতে দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল, জিআই পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সঞ্চিত হয়ে বে-আইনী জনতায় মলবম হয়ে আমার দোকান ঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করে এবং দোকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার অধিক হবে। বাড়িয়ে ভাংচুর করে। যাহার জরি তখন আমি আসামীদের উক্ত রুপ কাজে বাধা দেওয়ায়।
১নং আসামীর হুকুমে ২নং আসামীর হাতে থাকা লোমান হার রড দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে আমি বাম হাত উঁচু করে ধরায় উক্ত আমার বাম হাতের কব্জিতে লেগে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। সাতে সাথে ১নং আসামী আমাকে মৃত্যু নিশ্চিত করতে লোহার শাবল লক্ষ্যাতই আঘাত করে,আমার ঘড়ে লেগে গুরুতর জখম হয়।
উক্ত আঘাতের ফলে আমি মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য সকল আসামীরা আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে জখম করে।
এসময় ঘটনার সাক্ষীঃ ১।মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৫) ২। অত কাদের সরদার (৪০) ৩। শরিফুল ইসলাম (২২) সর্বসত- বয়ারসিংহ, যামা শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা সহ আরো
অনেকে আসামীদের উক্ত রুপ কার্যকলাপ সরাসরি প্রত্যক্ষ করলে আসামীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। অতপর আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র সহকারে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করত।
প্রকাশ্যে বলে যে,আমি স্বেচ্ছায় দোকান ঘর ছেড়ে চলে না যাই তাহলে না হলে আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিপদ আছে।
সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় কতক সাক্ষীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি আমি।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করে শারীরিক উন্নতি হলে আমি শ্যামনগর থানায় এজাহার নামা দাখিল করি তাই আমার বিলম্ব হয়।